কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে আরএমজি ইন্ডাস্ট্রির চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে তারা এ কথা বলেন।
অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প দেশের মোট দেশিয় উৎপাদনে ১১.২ শতাংশ অবদান রাখে।
তিনি বলেন, ৮,৬০০ টিরও বেশি আরএমজি কারখানাগুলো দেশের বৃহত্তম শিল্প খাত গঠন করে এবং এ খাতে জড়িত ৪১ লাখ শ্রমিককে নিয়ে উৎপাদন কর্মসংস্থানের ৩৬ শতাংশ অবদান রাখে। সুশৃঙ্খল ও স্বল্প মজুরির নারী শ্রমিকরা এ শিল্পের মেরুদণ্ড। আরএমজি শিল্প ৬১ শতাংশ নারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নারী ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সাম্যতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিতের ফলে পুরো খাতে তারল্য সংকট দেখা দিচ্ছে। এর ফলে বিজিএমইএ সভাপতিকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের ও সরকারের উভয় পক্ষের সমর্থনের জন্য আবেদন করতে অনেকটা বাধ্য করেছে।
ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের মালয়েশিয়া হাইকমিশনের মন্ত্রীর উপদেষ্টা মোহাম্মদ খলিল ইব্রাহিম বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের এক মাসের মধ্যে বিশ্বের ক্রয়ের অভ্যাস বদলেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী জিডিপি লোকসান ৩.৯ শতাংশে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে আরএমজি শিল্প এখন পুরো শীতকালীন বিক্রয় মৌসুমে অর্ডার হারানোর শঙ্কায় রয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও সাভারটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ তার উপস্থাপনা প্রাক-কোভিড-১৯ রফতানি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য এবং বর্তমানের বাস্তবতার পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, আরএমজি শিল্পের ক্ষতিগ্রস্থ পরিস্থিতির প্রভাব কেবল এ শিল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং অন্যান্য শিল্প, গ্রাহক ও সেবা খাতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে ৯৮ শতাংশ আরএমজি কারখানা বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রাহক। সমস্ত মেশিন এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ বীমা সংস্থাগুলোর সাথে বীমা করা হয় এবং অতিরিক্তভাবে ৮৭ শতাংশ আমদানিকারক এবং ১৫ শতাংশ রপ্তানিকারকরা বীমা করেন।
‘অনুমান করা হয় আরএমজি খাত থেকে প্রাপ্ত বন্দর ব্যবহারের ফি বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়ের ৪০ শতাংশেরও বেশি’, যোগ করেন তিনি।
এ ওয়েবিনারে বিজিএমইএর সিনিয়র উপ-সচিব নুর মোহাম্মদ আমিন রাসেল, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জাম হোসেন, সহ-সভাপতি আনোয়ার শহীদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুবুল আলম অংশ নেন।